Read In
Whatsapp

ট্রাক চালিয়েই ৬ মাসে আয় ১ কোটি! এই লাস্যময়ী ড্রাইভারকে দেখেই প্রেমে পড়ছে নেটিজেনরা

ট্র্যাক্টর, ট্রাক এসব বড় গাড়ি দেখলেই মনের মধ্যে ভয় কাজ করে? মনে প্রশ্ন জাগে, মানুষ কীভাবে চালায় এসব গাড়ি? একে তো এত বড় গাড়ি, তার উপর ভারী পণ্য নিয়ে মাইলের…

Advertisements

ট্র্যাক্টর, ট্রাক এসব বড় গাড়ি দেখলেই মনের মধ্যে ভয় কাজ করে? মনে প্রশ্ন জাগে, মানুষ কীভাবে চালায় এসব গাড়ি? একে তো এত বড় গাড়ি, তার উপর ভারী পণ্য নিয়ে মাইলের পর মাইল পথ অতিক্রম করতে হয়। মাঝে যদিও বিশ্রামের অল্পসল্প সুযোগ পাওয়া যায়, তবে সেটা কি সত্যিই যথেষ্ট? তবে এটা কি বিশ্বাস করবেন, একজন মহিলা এই কাজটিই ভালোবাসেন!

Advertisements

অবাক করা বিষয় হল, পেশাজুড়ে প্রতিকূলতা থাকলেও তাতেই মজা পান ইনি, নাম অ্যাশলে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাস্তাঘাটই হল তার বাসস্থান। রোজই এই রাস্তা থেকে ঐ রাস্তা করে বেড়ান তিনি। গোটা বিশ্বে মহিলা ট্রাক ড্রাইভার এই প্রথম নন যদিও, তবে এরকম চোখধাঁধানো সুন্দরী ড্রাইভার কি সহজে নজরে আসে?

আসলে ট্রাক চালানোর পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ ভালোই অ্যাক্টিভ থাকেন এই মহিলা। সেখানেই দুনিয়ার মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকেন তিনি‌। তার উপচে পড়া গ্ল্যামার দেখে কুপোকাত নেটিজনযাও। একজন ট্রাক চালক কীভাবে গ্ল্যামার ধরে রেখেছেন সেটাই হল রহস্য। আর তারচেয়েও আকর্ষণীয় বিষয় হল তার রুটিন।

জানা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় পিলবারাতে মাসের প্রথম ১৪ দিন একটানা কাজ করেন। এরপর টানা ১৪ দিন নিয়ে নেন ছুটি। রোজ ভোর ৪ টের সময় ঘুম থেকে ওঠেন। গরম হোক কী ঠান্ডা, টানা ১২ ঘন্টা চলে তার কাজ। যেমন পরিশ্রম করেন তেমন পারিশ্রমিকটাও বুঝে নেন অ্যাশলে। সারা বছরে প্রায় ৬ মাস কাজ করে আয় করেন কম করে ১ কোটি টাকা।

 

এদিকে ইন্সটাগ্রামে রয়েছে প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার্স। তার জীবনের রোজনামচা শেয়ার করে নেন এইসব ভক্তদের সাথে। অনেকেরই কৌতূহল ট্রাক ড্রাইভারের মতো একটা কঠিন দায়িত্ব সামলানো সত্ত্বেও এমন ফুরফুরে জীবনযাপন কী ভাবে সম্ভব? অ্যাশলে জানান, ‘আমি প্রথমে টু-অ্যান্ড-টু রোস্টার বানিয়ে ফেলি। সেই অনুযায়ী প্রতি মাসে দু সপ্তাহ করে ছুটি পাই আমি। যা দুর্দান্ত কিছু উপভোগ করার জন্য আমাকে প্রচুর সময় দেয়।’ এই সুপার কুল ড্রাইভারের কথায়, ‘আমি আমার জীবনে সুপার কুল কিছু করতে চাই।’

About Author

Ritwik is an experienced automobile writer whose work has been featured in major publications. He is known for his insightful vehicle reviews and analysis of the latest automotive trends.