এক সময়ের সবচেয়ে সাশ্রয়ী গাড়ি হিসেবে পরিচিত টাটা ন্যানো আবারও শিরোনামে। তবে এবার আর পেট্রোল নয়, ন্যানো ফিরছে ইলেকট্রিক অবতারে। গাড়ির নকশা ও প্রযুক্তিতে একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন কনসেপ্ট ডিজাইনে। পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক শহরভিত্তিক চলাচলের কথা মাথায় রেখেই এই রূপান্তরের ভাবনা বলে জানানো হয়েছে।
আধুনিক ডিজাইন ও প্রযুক্তির ছোঁয়া
নতুন ইলেকট্রিক ন্যানোর ডিজাইনে টানা কাজ করা হয়েছে। আগের মতো ছোট আকৃতিই থাকছে, তবে নকশায় আনা হয়েছে আধুনিক ছোঁয়া। গাড়িতে থাকছে এলইডি ডে-টাইম রানিং লাইট, প্রজেক্টর হেডল্যাম্প, এবং নতুন ডিজাইনের বাম্পার—যা শুধু দেখতে আকর্ষণীয় নয়, নিরাপত্তা মানেও উন্নত।
ভিতরের দিকেও প্রযুক্তির ছাপ
গাড়ির ভিতরের দিকেও বেশ কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। থাকছে একটি মিনিমালিস্ট কিন্তু ফিচার-সমৃদ্ধ ককপিট, যার মধ্যে টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম এবং ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার থাকতে পারে বলে জানা গেছে। শহরের ব্যস্ত রাস্তায় চটপটে চলাচলের জন্য নতুন প্ল্যাটফর্মে তৈরি হতে পারে এই গাড়ি, যা সিটি কমিউটের জন্য উপযুক্ত রেঞ্জ দিতে পারবে।
কি বলছে TATA গোষ্ঠী ?
তবে এখনও পর্যন্ত টাটা মোটরস অফিসিয়ালি এই মডেল বাজারে আনার কোনও ঘোষণা দেয়নি। কিন্তু সংস্থার অভ্যন্তরীণ মহলে গাড়িটি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ইলেকট্রিক রূপান্তর শুধুমাত্র টাটা ন্যানো নয়, বরং ভারতের ইভি (EV) ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
টাটা ন্যানোর এই সম্ভাব্য পুনর্জন্মকে অনেকেই দেখছেন ভারতের মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য আরও একটি সহজলভ্য ইলেকট্রিক যানবাহনের বিকল্প হিসেবে। পরিবেশবান্ধবতা, খরচে সাশ্রয় এবং শহুরে জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিজাইনের জন্য গাড়িটির প্রতীক্ষা বাড়ছে।
যদিও গাড়িটির উৎপাদন ও বাজারে আগমনের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি, তথাপি ডিজাইন কনসেপ্ট এবং বাজারের প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যেই আগ্রহের কেন্দ্রে। এই গাড়ি ভবিষ্যতে ভারতের ইভি বিপ্লবকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, এখন সেদিকেই নজর সবার।